জিপিএস কি? জিপিএস কি কি কাজে ব্যবহার হয়?

জিপিএস- সময়ের সাথে সাথে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং প্রয়োগ পাল্টে দিচ্ছে সমগ্র পৃথিবীর প্রেক্ষাপট। আধুনিক বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রেই যেন প্রযুক্তির সমাহার। সমসাময়িক সময়ের আলোচিত প্রযুক্তি সমূহের মধ্যে অন্যতম আলোচিত ও আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি প্রযুক্তির নাম হলো জিপিএস (GPS). 

জিপিএস হলো কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক একধরনের একমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই প্রযুক্তির সাহায্যে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে অন্য যেকোন স্থানে অবস্থানরত কোন স্থির বা গতিশীল ব্যক্তি বা বস্তুর অবস্থান সম্পর্কে সহজেই জেনে নেয়া সম্ভব। 

প্রধানত জিপিএস (GPS) শব্দটি হলো গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (Global Positioning System) কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ। বাংলায় যাকে বিশ্বজনীন অবস্থান-নির্ণায়ক ব্যবস্থা বলা হয়ে থাকে। এই গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম প্রযুক্তির সাহায্যে সারা বিশ্বের যেকোন স্থানে কোন বস্তুর অবস্থান এবং সেই বস্তুর দূরত্ব, গতি, বেগ ও সময়ের সিনক্রোনাইজেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য যেকোন জায়গা থেকে জানা যায়। 

জিপিএস প্রযুক্তি সর্বপ্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হাত ধরে উদ্ভাবিত এবং বিকশিত হয়। ১৯৭০ দশকের শুরুর দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে GPS প্রযুক্তি নিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে। এরপর ক্রমাগত বিভিন্ন গবেষণা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে জিপিএস প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধন ও ব্যবহারযোগ্যতা সৃষ্টির ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিভিন্ন সামরিক কাজে GPS প্রযুক্তির প্রত্যক্ষ প্রয়োগ শুরু করে। 

গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম প্রযুক্তি আবিষ্কারের শুরুর দিকে এটি কেবল সামরিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ ও ব্যবহারযোগ্য থাকলেও পরবর্তী সময়ে মার্কিন সরকার সারা বিশ্বের সর্বসাধারণের নিমিত্তে এর ব্যবহার উন্মুক্ত করে দেয়। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে  স্যাটেলাইট ভিত্তিক এই প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তৎকালীন সময়ে সর্বমোট ২৪ টি কৃত্রিম উপগ্রহের (Satellite) মাধ্যমে সৃষ্ট এই নেটওয়ার্ককে বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে ব্যবহারযোগ্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পজিশনিং সিস্টেম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 

স্যাটেলাইট ভিত্তিক এই যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রথম স্যাটেলাইটটি ১৯৭৮ সালে মহাকাশে প্রেরণ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ৩৩ টি স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে প্রেরিত হয়। এর মাধ্যমে জিপিএস প্রযুক্তির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে এটি বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং সামরিক ও বেসামরিকভাবে সর্বাধিক ব্যবহৃত একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা। 

ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় বিশ হাজার উচ্চতায় থেকে এই ৩৩ টি কৃত্রিম উপগ্রহ মোট ৬টি কক্ষপথে দিনে দুইবার করে পুরো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই-এ স্থাপিত স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং স্টেশন থেকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনী এই স্যাটেলাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত বেশিরভাগ ডিজিটাল প্রযুক্তি পণ্যে জিপিএস প্রযুক্তি সংযোজন করে দেয়া হয়। গাড়ি, জাহাজ, উড়োজাহাজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ এমনটি বর্তমান সময়ের স্মার্টফোন, ঘড়ি এবং বাসা-বাড়িতেও এখন জিপিএস রিসিভার রয়েছে। 

উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে, আমরা আমাদের স্মার্টফোনে যে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করি এবং এর সাহায্যে যেকোন লোকেশনের অবস্থান, ঠিকানা, রাস্তা এবং দূরত্ব নির্ণয় করে থাকি তার মূলে রয়েছে জিপিএস প্রযুক্তি। এখনকার সময়ে আমরা যেই স্মার্টফোন গুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলোতে মূলত রয়েছে একটি করে জিপিএস রিসিভার। যার সাহায্যে আমরা একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমেই আমাদের যেকোন স্থানে অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারি।   

জিপিএস কি কি কাজে ব্যবহার হয় 

প্রধানত সামরিক কাজে সহযোগিতার জন্য জিপিএস প্রযুক্তির উদ্ভব ও বিকাশ ঘটলেও বর্তমানে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস এর প্রয়োগ ও ব্যবহারের ক্ষেত্র বিশাল।

বর্তমান আধুনিক বিশ্বে সামরিক-বেসামরিক, সরকারি-বেসরকারি এমনকি ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন কাজে জিপিএস এর রয়েছে প্রত্যক্ষ প্রয়োগ। প্রধানত যে সমস্ত কাজে জিপিএস টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় তার একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা এ পর্যায়ে প্রদান করা হলো।

Positioning

জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোন ধরনের আবহাওয়ায় পৃথিবীর যেকোন জায়গায় অবস্থিত কোন বস্তুর বা স্থানের অবস্থান (Position) নির্ণয় করা।

Tracking location

বিশ্বের যেকোন প্রান্তে অবস্থান করে এর বিপরীতে অন্য যেকোন স্থানের অথবা প্রতিষ্ঠানের লোকেশন বা ঠিকানা সম্বন্ধে অবগত হওয়া।

Navigating

স্থলপথ, নদী পথ অথবা সমুদ্র পথে ট্র্যাভেলিং এর সময় যেকোন জায়গার লোকেশন, অবস্থান, দূরত্ব ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে জানা।

Live tracking

ভূপৃষ্ঠের যেকোন স্থানে কোন বস্তুর গতিবিধি সরাসরি নিরীক্ষণ বা মনিটরিং (Monitoring) করা।

Timing

যেকোন আবহাওয়ায় যেকোন জায়গায় অবস্থান করে সময়ের সঠিক পরিমাপ নেওয়া।

Mapping

ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর এলাকা সহ সমগ্র বিশ্বের ভৌগলিক মানচিত্র (Map) তৈরি করা।

এককথায় বলতে গেলে জিপিএস এর কাজের ক্ষেত্র বিশাল এবং অবর্ণনীয়। এ সমস্ত মেজর ক্ষেত্র সমূহ ছাড়াও বিভিন্ন মাইনর ক্ষেত্রেও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম টেকনোলজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

জিপিএস ট্র্যাকার কি 

জিপিএস ট্র্যাকার, জিপিএস ট্র্যাকিং ইউনিট, জিওট্র্যাকিং ইউনিট বা শুধু ট্র্যাকার হলো এমন একধরনের navigation device যেটি যেকোন ধরনের বস্তু, গাড়ি, পশুপাখি কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করে দেয়া হয় যা পরবর্তীতে সেই অবজেক্টের সঠিক অবস্থান নিরীক্ষণ করা সম্ভব হয়। 

এ ধরনের জিওট্র্যাকিং ইউনিট (Geotracking unit) গুলো সাধারণত গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম প্রযুক্তির আওতায় কার্যসম্পাদন করে। গাড়ি, মোটরসাইকেল, গৃহপালিত পশুপাখি, অথবা ঘরের বয়স্ক কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধী সদস্যের নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে জিপিএস ট্র্যাকার প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যবহারে লোকেদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

যে সমস্ত অবজেক্টে আগে থেকে জিপিএস ট্র্যাকার ইনপুট হিসেবে দেওয়া থাকে সে সমস্ত অবজেক্ট কোনোভাবে হাড়িয়ে গেলে কিংবা চুরি হয়ে গেলে জিপিএস প্রযুক্তির সাহায্যে সেগুলো খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব। 

একটি জিপিএস ট্র্যাকার ভূপৃষ্ঠের যেকোন স্থানে অবস্থানরত অবস্থায় কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে কিছু বিশেষ signal অন্য একটি জিপিএস রিসিভারে প্রেরণ করতে সক্ষম। এভাবে একটি জিপিএস রিসিভারের মাধ্যমে সেই সিগন্যাল অনুসরণ করে সেই ট্র্যাকারের অর্থ্যাৎ কোন একটি অবজেক্টের অবস্থান ও দূরত্ব সহজেই জেনে নেওয়া যায়।

এমনিভাবে যে সমস্ত গাড়ি অথবা বাইকে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো থাকে সে সমস্ত গাড়ি অথবা বাইক হাড়িয়ে গেলে কিংবা চুরি হলে খুব সহজেই জিপিএস এর সাহায্যে তার অবস্থান নির্ণয় করে তা উদ্ধার করা সম্ভব। এছাড়া যেকোন মূল্যবান বস্তু কিংবা যা হাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সে সকল জিনিসে জিপিএস ট্র্যাকার ইউনিট লাগানো থাকলে যেকোন প্রকারের নিরাপত্তাহীনতা এড়ানো যায়।

জিপিএস এর সুবিধা 

জিপিএস এর সুবিধা

খুব বেশি আগেকার দিনের কথা নয় যখন ভূপৃষ্ঠে অবস্থানরত কোন বস্তু অথবা স্থানের অবস্থান, দূরত্ব ও সময় নির্ণয়ের একমাত্র অবলম্বন ছিল স্কেল, কম্পাস, মানচিত্র এবং পৃথিবীর অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের পরিমাপ। তবে এখন সময় বদলেছে। বদলেছে মানুষের সাধারণ জীবনব্যবস্থা। প্রযুক্তির উন্নতি সাধন যেমন ঘটেছে তেমনি উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের। 

বর্তমান কালের ইন্টারনেট ভিত্তিক ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর প্রায় প্রতিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন আরেকটি একটি প্রযুক্তি। যার নাম জিপিএস। এই জিপিএস সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বেসিক তথ্য সমূহ আমরা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছি। তো এই মুহূর্তে আমরা জানতে চলেছি জিপিএস এর সুবিধা সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ঠিক কি কি কারণে জিপিএস এর এত উল্লেখযোগ্য মাত্রার জনপ্রিয়তা।

১. ভ্রমণকালে যেকোন স্থানে হাড়িয়ে গেলে জিপিএস এর সাহায্যে ম্যাপিং করে সেই স্থানের লোকেশন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়। 

২. জিপিএস এর সাহায্যে নতুন অপরিচিত কোন স্থানে যাওয়ার পূর্বে সেই স্থানের লোকেশন, দূরত্ব ও গতিপথ জেনে নেওয়া সম্ভব।

৩. খারাপ আবহাওয়া হলেও জিপিএস ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠের যেকোন স্থানে অবস্থান করে অন্য যেকোন স্থানে অবস্থানরত কোন স্থান বা বস্তু বা কোন দোকান, হোটেল, রেস্তরাঁ, অথবা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, দূরত্ব, ও গতি সম্বন্ধে ধারণা নেওয়া যায়।

৪. কোনকিছু হাড়িয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে জিপিএস ট্র্যাকারের সাহায্যে সহজেই খুঁজে বের করা যায়। 

৫. সামরিক ক্ষেত্রে অপরাধীদের খুঁজে বের করার জন্য এবং ধরার জন্য জিপিএস অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

৬. জিপিএস প্রযুক্তি বসতবাড়ি, অফিস, আদালত কিংবা যেকোন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে সহযোগী ভূমিকা পালন করে। 

৭. প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দ্রুততম সময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস গ্রহণ এবং weather mapping এর জন্য জিপিএস এর রয়েছে প্রত্যক্ষ প্রয়োগ।

৮. সময় সিনক্রোনাইজেশন এর ক্ষেত্রে জিপিএস এর রয়েছে অভিনব প্রয়োগ। বর্তমান কালের ডিজিটাল ডিভাইস সমূহ যেমন- স্মার্টফোন (Smartphone), স্মার্ট ওয়াচ (Smart watch) ইত্যাদি ডিভাইসে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের নিজেদের দেহ এবং স্বাস্থ্য ট্র্যাকিং এর আওতায় আনতে পারি। যেমন- একদিনে আপনি কতটুকু সময় হাঁটলেন, বসলেন, দৌড়ালেন কিংবা দাঁড়ালেন তা সহজেই জিপিএস এর সাহায্যে নিরীক্ষণ করে নিতে পারবেন।

৯. বর্তমান সময়ের অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেইম (Online Multiplayer Games)- গুলোতে জিপিএস অনেক কার্যকর ও ব্যবহারযোগ্য একটি প্রযুক্তি। 

১০. জিপিএস টেকনোলজির (GPS Technology) সাহায্যে যেকোন ব্যক্তি বা বস্তুকে প্রয়োজন অনুযায়ী ট্র্যাকিং এর আওতায় আনা যায়। অর্থ্যাৎ যেকোন জায়গায় বসে তার উপর সরাসরি নজরদারি করা যায়। 

বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে শিক্ষাগত, পেশাগত কিংবা ব্যক্তিগত প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে জিপিএস এর প্রয়োগ। এককথায় বললে জিপিএস এর ভূমিকা সুদূরপ্রসারী। জিপিএস প্রযুক্তি কমবেশি আমরা প্রায় সকলেই ব্যবহার করে থাকলেও এই প্রযুক্তি সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নেই। যে কারণেই মূলত আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা জিপিএস এর সমস্ত খুটিনাটি বিষয় সহজ বাংলায় বিশ্লষণের চেষ্টা করেছি। যাতে খুহ সহজেই যে কেউ এ সম্বন্ধে জানতে পারে। 

তাই আশা করছি, জিপিএস কি, জিপিএস ট্র্যাকার কি, জিপিএস কি কি কাজে ব্যবহৃত হয় এবং জিপিএস এর সুবিধা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ভালোভাবে জানতে পেরে গিয়েছেন। 

এন্টিভাইরাস কি? এন্টিভাইরাস এর কাজ কি?

তবুও GPS Technology সম্পর্কে আপনার যেকোন ধরনের জিজ্ঞাসা থাকলে তা কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমরা যথাযথ উত্তর প্রদানের চেষ্টা করব। ধন্যবাদ

Leave a Reply