ফ্রিল্যান্সার মাসুম এর সফলতার গল্প

সংক্ষেপে আপনার পরিচয় দিন

আমি মাহমুদুর রহমান মাসুম। ভার্চুয়াল এসিসটেন্সি, রির্সাচ এবং লিড জেনারেশন নিয়ে কাজ করছি ২০১১ সাল থেকে। অর্থনীতিতে মাস্টার্স করেছি কিন্তু ট্রেডিশনাল জবের কোন ইচ্ছা ছিলনা, তাই হয়তো আজ আমি ফ্রিল্যান্সার হয়েছি।

অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে কিভাবে জানতে পারলেন?

আমি ২০১১ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেও আসলে ইন্টারনেট ইউজ করতাম ২০০৭ সাল থেকে, তখন থেকেই টেক ব্লগগুলোর প্রতি আলাদা একটা ভালো লাগা ছিল এবং রেগুলার পড়তাম, আর সেখান থেকেই অনলাইন ইনকাম বিষয় জানতে পারি। 

কোথায় থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখলেন?

বলতে গেলে ‍ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আমি স্বশিক্ষিত,কাজ করতে গিয়ে  বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আটকে গেছি আবার আবার নিজেই শিখেছি। তবে ম্যাচে থাকাকালীন ২ টা ছোট ভাইয়ের মধ্যামে ওডেক্স এ ( বর্তমানে আপওর্য়াক) একাউন্ট খুলি এবং তখন থেকেই যাত্রা শুরু।

ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে কি কি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন?

ফ্রিল্যান্সিং করতে আসলে আমি কোন বাধার সম্মুখীণ হয়নি। অনেক আগে থেকে ইন্টারনেট ইউজ করার ফলে সবকিছু আমার কাছে খুব স্বাভাবিকই ছিল। কারণ শুরু থেকেই আমি ওয়েব রির্সাচ এর কাজ গুলো বেশি করতাম। যে কাজ গুলো নরমালি আমি নিজের জন্য আগে থেকেই ঘাটাঘাটি করতাম। হ্যাঁ তবে বাধা এসেছে ফ্যামেলি থেকে, আসলে ফ্যামেলিকে বোঝানো খুব কঠিন ছিল।

বর্তমানে কি নিয়ে কাজ করছেন?

বর্তমানে লিড জেনারেশন নিয়ে বেশি কাজ করছি এবং পাশাপাশি অনলাইনে ই-লানিং প্ল্যাটফর্ম দাড় করানোর চেষ্টা করছি।

ফ্রিল্যান্সার মাহমুদুল এর সফলতার গল্প

লিড জেনারেশনের ভবিষ্যত কি?

সত্যি কথা বলতে লিড জেনারেশনের ভবিষ্যত অনেক উজ্জল। আসলে আপনে যে ব্যবসায় করেন না কেন আপনার সেলস বাড়ানোর জন্য লিড লাগবে, আর অনলাইন বেইজ যত ব্যবসার প্রসার ঘটবে ততো লিড জেনারেশনের চাহিদা বাড়তে থাকবে।

অনলাইনের বাইরে আর কি কি কাজ করছেন?

আমি মূলত ফুলটাইম অনলাইন কাজে যুক্ত আছি তবে পাশাপাশি একটা এগ্রো খামার গড়ে তোলার চেস্টা করছি।

আপনে কি নিজেকে সফল মনে করেন?

 হ্যাঁ, অবশ্যই নিজেকে সফল মনে করি।   

আপনার ভবিষ্যত প্ল্যান কি?

আসলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা টা ছিল একটা ঘটনার আকষ্মিকতা। মাস্টার্স পাশ করার পর বলতে গেলে বেকারত্বটা ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যমে লাঘব করেছিলাম। আর সেই অনুপ্রেরণা থেকেই আমি সব সময় নতুনদের পাশে থাকার চেষ্টা করি আর সেই চেষ্টা থেকেই বলা যায় আমি অনেক গুলো নতুন সফল  ফ্রিল্যান্সর তৈরি করতে পেরেছি। 

ফাইভাবে কাজ পাবার উপায়

শুধু আমি আমার নিজের জন্যেই ফ্রিল্যান্সিং করি নাই, তাইতো বলতে পারি গোটা বাংলাদেশে আমার হাতে অন্তত- ২০০+ টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে, তবে মোট সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে । সেই অনুপ্রেরণা থেকেই নতুনদের পাশে থাকার জন্য ”ই লার্নিং একাডেমি” নামে www.elearningacademy.com.bd নিজের একটা প্লাটর্ফম তৈরি করতে যাচ্ছি যেখানে নতুনরা অন্ততঃ সঠিক গাইডলাইন নিয়ে নিজেদের দক্ষ করে তুলে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে পারে। সেই সাথে নিজের ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সিং সক্ষমতা বাড়ানো চেষ্টা করছি।

নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছে তাঁদের উদ্দেশ্য আপনার উপদেশ কি?

যাস্ট ২ টা উপদেশ নতুনদের জন্য-

১) দক্ষ না হয়ে মার্কেট প্লেস আসা যাবে না। যতটুকু পারা যায় দক্ষতা বাড়াতে সময় দিতে হবে। তাই শর্টকাট ইনকামের চিন্ত মাথা থেকে বাদ দিতে হবে।

২) অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো হতে হবে। ( এর কোন বিকল্প নাই)

এই ছিলো ফ্রিল্যান্সার মাসুমের সফলতার গল্প। সব শেষে আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন- মাসুম ভাইয়ের দ্বারা আপনারা কে কি উপকার পেয়েছেন তা নিচে কমেন্ট বক্সে জানান, আর প্রতি সপ্তাহে এমন সফলতার গল্প পেতে সাবক্রাইব করে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

11 thoughts on “ফ্রিল্যান্সার মাসুম এর সফলতার গল্প”

  1. আল্লাহ উনাকে সুস্থ রাখুক। এগিয়ে যাক আরো অনেক দূর, আমিন।🥰

    Reply
  2. আলহামদুলিল্লাহ মাসুম ভাইয়ের হাত ধরে আমার ফিল্যান্সিং শুরু। আমি আল্লাহর রহমতে এখন টপ রেটেড ফিল্যান্সার। আল্লাহ ওনাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাক।

    Reply
  3. ami to masum vaiyar sathe course korar sujog paichilam Ranzu Alam vaiyaer sathe course korar sujog paichilam tobe Alhamdulillah online ami unar sathe course korte peyechilam uni onek valo Allah unak aro nek hayat dan koruk ameen

    Reply
  4. আমিও শুরু করছি।আশা রাখি হেল্প পাব।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

    Reply

Leave a Reply