কীভাবে স্লো কম্পিউটার ফাস্ট করা যায়?

কম্পিউটার যতই স্লো হোক কিছু কিছু ট্রিক্স আছে যেগুলো ফলো করলে সহজে স্পীড ফাস্ট করা যায়। আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটার সাময়িক এবং পার্মানেন্ট দুইভাবেই ফাস্ট করতে পারবেন। চলুন পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

সাময়িক পদ্ধতি

টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করে: কম্পিউটার তার চলার সময় অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল তৈরি করে। যেগুলো পরবর্তীতে আর কাজে লাগে না। কিন্তু নিয়মিত সেগুলো ডিলিট না করলে অতিরিক্ত পরিমাণ স্পেস খরচ করে যা কম্পিউটার স্লো করে দেয়। এই ফাইলগুলো ডিলিট করে দিলে কম্পিউটারের পারফরমেন্স অনেক বেড়ে যায়।

আপনি আপনার উইন্ডোজ মেশিনে Windows+R অথবা Run এ গিয়ে একে একে “temp”, “%TEMP%”, “prefetch” লিখে এন্টার প্রেস করবেন। তারপর যে যে ফোল্ডার ওপেন হবে সেখান থেকে Ctrl+a প্রেস করে সবকিছু সিলেক্ট করে ডিলিট করবেন। যেগুলো ডিলিট হবেনা সেগুলো ওই অবস্থায় রেখে দিয়ে রিসাইকেল বিন ক্লিন করবেন।

কম্পিউটার স্লো হওয়ার কারন কি?

ডিফল্ড ফাইল ক্লিনাপ: উইন্ডোজ এর ডিফল্ড একটি C ড্রাইভ ক্লিনার আছে। সেটি ব্যবহার করে সহজেই পুরো C ড্রাইভে থাকা অপ্রয়োজনীয় ফাইল এবং উইন্ডোজ আপডেট হওয়ার পর যে অতিরিক্ত ফাইল থাকে সেগুলো রিমুভ করা যায়। এই ফিচার ইউজ করার জন্য প্রথমে My Computer এ যান অথবা Windows+e প্রেস করুন। এরপর C ড্রাইভ এ রাইট বাটন ক্লিক করে Properties এ গিয়ে Disk-cleanup এ ক্লিক করুন। তারপর Downloads নামক অপশন বাদে বাকী সবগুলো সিলেক্ট করে OK প্রেস করুন।

পার্মানেন্ট পদ্ধতি

পার্মানেন্ট পদ্ধতি

ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট: ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্টের কাজ হল হার্ড ডিস্কে থাকা সকল সেক্টরকে সুন্দরভাবে পর্যায়ক্রমে সাজানো। এতে হার্ড ডিস্কের রিড/রাইট স্পীড অনেক গুণ বেড়ে যায়। এতে কম্পিউটার ফাস্ট কাজ করে। ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট টুল ইউজ করার জন্য উইন্ডোজ এর সার্চ অপশনে গিয়ে Defragment লিখে সার্চ করলেই এই টুল পেয়ে যাবেন।

স্টার্টআপ সার্ভিস ডিজেবল: আমরা যখন কোন সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করি তখন এর অনেক সার্ভিস স্টার্টআপে অ্যাক্টিভ হয়ে থাকে। এগুলো কম্পিউটার বুট টাইম বাড়িয়ে দেয়। টাস্ক ম্যানেজার থেকে স্টার্টআপ ট্যাবে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস ডিজেবল করে দিলে পিসি ফাস্ট কাজ করে।

লেটেস্ট হার্ডওয়্যার: এসএসডি বর্তমানে অনেক পপুলার একটি স্টোরেজ হার্ডওয়্যার। আপনি চাইলে এটি হার্ডডিস্কের পাশাপাশি শুধু অপারেটিং সিস্টেম ইউজ করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া রাম বৃদ্ধি করলে কম্পিউটারের পারফরমেন্স অনেক বেড়ে যায়। এর সাথে যদি গ্রাফিক্স কার্ড যোগ করা যায় তাহলে বেস্ট পারফর্মেন্স পাওয়া যায়।

টপ ১০ সেরা স্মার্ট ফোন কোম্পানি

ভাইরাস রিমুভ: কোন পেইড এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে পুরো কম্পিউটার ভাইরাস ক্লিন করে নিলে পিসি অনেক ফাস্ট হয়। কারণ ভাইরাস তাদের কার্যক্রম ব্যাকগ্রাউন্ডে পরিচালনা করে যা পিসির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ভাইরাস রিমুভ করলে আর এই সমস্যা থাকেনা এবং কম্পিউটার নতুনের মত পারফর্মেন্স দেয়।

বেসিক অপারেটিং সেটিংস: কম্পিউটার ফাস্ট রাখার জন্য কিছু বেসিক কাজ আছে যা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম দেওয়ার পরেই ঠিক করে নেওয়া উচিত। যেমন-

  • উইন্ডোজ আপডেট অফ রাখা
  • অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল না করা
  • ওয়েব ব্রাউজারে অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যাডঅন বা এক্সটেনশন না ইউজ করা
  • ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ করে রাখা
  • পারফর্মেন্স সেটিং থেকে Adjust for best performance অপশন সিলেক্ট করে রাখা
  • পেইড পিসি ক্লিনার যেমন CCleaner বা Wisecare365 ইত্যাদি অ্যাপ ইউজ করা।  
  • কম্পিউটার সবসময় আপডেট রাখা
  • C ড্রাইভ সবসময় ফাঁকা রাখা

স্লো কম্পিউটার একটি চরম বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা। উপরে বর্ণিত পদ্ধতিগুলো ইউজ করে সহজেই আপনার স্লো এবং দুর্বল কম্পিউটারকে ফাস্ট এবং শক্তিশালী করে করে ফেলতে পারবেন। আশাকরি এই পোস্ট আপনার কম্পিউটারের স্লো হওয়া সমস্যার সঠিক সমাধান দিতে পেরেছে। এগুলো অ্যাপ্লাই করার পড়েও যদি আপনার সমস্যা থেকেই থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ধন্যবাদ। 

Leave a Reply