আজ ২ জানুয়ারি রোজ শনিবার, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সারাদিন ব্যাপি চলছে, অনলাইন প্রফেশনালদের ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ম্যাচ।
মূলত বিওপিসির উদ্যেগে এই ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। সারাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফ্রিল্যান্সার এবং আইটি উদ্যোক্তোরা এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন। সকাল ৯ টা থেকে আয়োজনের কার্যক্রম শুরু হবার কথা থাকলেও ভোর ৬ টা থেকেই শুরু হয়ে যায়।
বিওপিসির এডমিন প্যানেলের মতে এই ধরণের আয়োজনের মাধ্যমে একে অপরের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, প্রফেশনাল নেটওয়াকিং গড়ে ওঠে, সব থেকে বড় কথা যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছে বা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে তাঁরা চাইলে এই ধরণের আয়োজনের মাধ্যমে ডিরেক্ট সিনিয়রদের থেকে গাইড লাইন নিতে পারে।
আর দশটা সাধারণ পেশার থেকে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা একটু ব্যাতিক্রম, অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সারই ঘরকুনো স্বভাবের হয়ে থাকে, ইউরোপের দেশগুলোর সাথে টাইম টেবিল মিলাতে গিয়ে প্রায় ফ্রিল্যান্সদেরই রাত জেগে কাজ করতে হয় এবং এটা করতে তাঁরাও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আবার অপরদিকে অনান্য পেশার মতো ফ্রিল্যান্সারদের যেহুতু অফিসে গিয়ে কাজ করতে হয়না, তাই তাঁদের প্রায় সময়ই একাকী কাজ করে যেতে হয় এইক্ষেত্রে অনলাইন কমিউনিটির এই আয়োজনগুলো খুবই আনন্দদায়ক হয়ে থাকে কেননা একই প্রফেশনের বিভিন্ন চেনা,অচেনা মানুষদের সাথে পরিচিত হওয়া যায় এবং কিছু আনন্দদায়ক মুহূর্ত একসাথে ব্যায় করা যায়।
ইভেন্ট সফল ভাবে সম্পূর্ণ করতে স্পনসর হিসেবে ছিলো:
আজকের আয়োজন শুরু হয়েছে শীতের সকালে খেজুরের রস পানের মধ্যে দিয়ে এরপর শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সবাই একত্রিত হয়ে ক্রিকেট খেলার আয়োজন, দুপুরে থাকছে ঐতিহ্যবাহী খাবার আলুঘাটি।
দুপুরের খাবার শেষে চলবে ২০২১ এর ফ্রিল্যান্সিং পরিকল্পনা এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটাকে আরো সামনে এগিয়ে নেয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা, একই সাথে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য থাকবে গাইড লাইন।
গত বছর ২০২০ এ করোনার প্রভাবে অনেক পরিকল্পনা বদলে গেছে, অনলাইন প্রফেশনালদের ইভেন্টগুলোও করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ২০২০ এ কে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরে পদাপর্ণ করেছি, সেই সাথে করোনার প্রভাবও কিছুটা কমে এসেছে তাই এই বছরের সবারই প্রত্যাশা এই ধরণের ইভেন্টগুলো যেন বেশি বেশি আয়োজন করা হয় এবং এর মাধ্যমে একটা সফল সুন্দর অনলাইন কমিউনিটি গোড়ে তোলা হয়।
you should also add author name or profile!