ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব

আজ থেকে দশ বছর আগে যে পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যাবসা বৃদ্ধি করা সম্ভব ছিল বর্তমান সময়ে তা সম্ভব হয় না। কারণ মার্কেটে কম্পিটিশন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মার্কেটিং ধারার আমূল পরিবর্তন চলে এসেছে। যেমন বর্তমানে টিভি বা নিউজপেপারে মানুষ আর বিজ্ঞাপন দেখে না। অন্যদিকে ফেসবুক এবং ইউটিউবে সারাদিন বিভিন্ন অ্যাড দেখেই চলছে। আমাদের আজকের লেখায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ও এটি কীভাবে ব্যাবসায়িক উন্নতির প্রধান হাতিয়ার সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? 

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে আধুনিক মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে পণ্য বা সেবা পৌঁছানো। এর সব থেকে প্রতিষ্ঠিত উদাহরণ হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। তো গতানুগতিক মার্কেটিং পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে গবেষণালব্ধ উপায়ে পণ্যের প্রচার করার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পন্ন হয়। বর্তমান সময়ে অনেক প্রচলিত ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি বিদ্যমান। কিছু কমন পদ্ধতি সকল ব্যবসায় কাজ করলেও ব্যবসার ধরনের সাথে পদ্ধতির প্রয়োগের পার্থক্য আছে। 

যাইহোক, ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত টিভি, রেডিও, খবরের কাগজ ইত্যাদি মাধ্যম বাদ দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট এবং এর বিভিন্ন পরিষেবা আমাদের দৈনন্দিন কাজ কে আর সহজ ও গতিশীল করে তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের দিনের বেশিরভাগ সময় অনলাইনে ব্যয় হয়। বিশেষ করে ফেসবুকের মত সোশ্যাল মিডিয়া সহ ইউটিউব, গুগল ইত্যাদি আমাদের নিত্যদিনের ব্যাবহারিক লিস্টে থাকে। 

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান হিসেবে বিশ্বে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫.৩৫ বিলিয়ন। একবার চিন্তা করে দেখুন কি পরিমাণ মানুষ ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত। এই বিসাল পরিমাণ মানুষের মাঝে গতানুগতিক পদ্ধতিতে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা কখনই পৌঁছাতে পারবেন না। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার পণ্য এবং সেবার অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করতে পারবেন। 

মোটকথা, ইন্টারনেট ইউজ করে সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে পণ্য এবং সেবার প্রচার করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। 

গতানুগতিক মার্কেটিং এবং ই-মার্কেটিং এর পার্থক্য কি? 

গতানুগতিক ও ই-মার্কেটিং এর পার্থক্য বুজতে হলে আমাদের দুইটি পদ্ধতি কীভাবে পরিচালিত হয় তা বুঝতে হবে। চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

গতানুগতিক মার্কেটিং পদ্ধতিঃ

  • নিউজ পেপার
  • টিভি
  • রেডিও 
  • ডিরেক্ট কল
  • বিজনেস কার্ড
  • বিলবোর্ড
  • প্রিন্টিং মিডিয়া 
  • সেলস এক্সিকিউটিভ
  • ব্রডকাস্টিং 

ই-মার্কেটিং পদ্ধতিঃ 

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 
  • ই-মেইল মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ভিডিও মার্কেটিং
  • কনটেন্ট মার্কেটিং
  • ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং
  • সিপিএ মার্কেটিং 

এখানে বর্তমান সময়ে প্রচলিত বিভিন্ন মার্কেটিং পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। তো দুটির মধ্যে খেয়াল করলে দেখবেন যে ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা সকলেই প্রায় অবগত। এবং এগুলো কি ভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আমাদের ধারানা আছে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতিতে যে সকল উপায় ব্যবহার করা হয় তা আমাদের অনেকের কাছে নতুন। 

যাইহোক, গতানুগতিক মার্কেটিং পদ্ধতিতে টার্গেটেড কাস্টোমার স্কেল করা কঠিন হয়। অন্যদিকে, ই-মার্কেটিং পদ্ধতিতে অনেক টুল পাওয়া যায় যেখানে সকল প্রকারের তথ্য সাজানো-গোছানো অবস্থায় পাওয়া যায়। 

ই-মার্কেটিং এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ কাস্টমারের কাছে সহজেই এবং কম খরচে পৌঁছানো যায়। যেখানে গতানুগতিক পদ্ধতি অনেক ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। ডিজিটাল মার্কেটিং এ দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায় কিন্তু গতানুগতিক মার্কেটিং এর ফলাফল পেতে সময় লাগে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতিতে বিফল হলে তার কারণ অনুসন্ধান করে সমাধান করা যায় যা গতানুগতিক পদ্ধতিতে অনেক কঠিন হয়ে পরে। তাছাড়া বর্তমানে ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং পদ্ধতির অনেক মাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে অথবা ব্যবহার কমে গেছে। এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমগুলো এই জায়গা পুরন করে ফেলেছে। 

গতানুগতিক মার্কেটিং পদ্ধতিতে আপনি সম্ভাব্য ক্রেতাকে রি-টার্গেট করতে পারবেন না। উক্ত ক্রেতা যদি আপনার প্রোডাক্ট দেখে সিলেক্ট না করে তাহলে তার কাছে উক্ত প্রোডাক্ট বারবার উপস্থাপন করা কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এ এই কাজটি অনেক সহজে করা যায়। ধরুন আপনি একটি সোফা বিক্রি করবেন তবে উক্ত কাস্টমার কোন কারণে সেটি কিনতে চাচ্ছে না। 

এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে বিশেষ করে দাম, ডিজাইন, ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি। তো ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে উক্ত ক্রেতার কাছে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ডিজাইন এবং ডিস্কাউন্ট অফার করতে পারবেন। দেখা যাবে প্রথম পর্যায় সোফা কিনতে অপারগতা জানালেও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলবে। 

ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব

ব্যবসায়িক উন্নতি ও প্রসারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। নিচে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।  

দ্রুত ব্যবসার প্রসার 

বিপণন বা মার্কেটিং করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্রুত বিজনেসের প্রসার ঘটানো। আমরা যখন কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করি বা বিজনেস প্রতিস্থা করি তখন আমাদের প্রধান টার্গেট থাকে বেশি বেশি ক্রেতার কাছে পৌঁছানো। ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা সহজেই এই কাজ করতে পারি। ধরুন আপনার একটি ফার্নিচার বিক্রি করার প্রতিষ্ঠান আছে। আপনার টার্গেট হচ্ছে লোকাল এলাকা বাদে বড় বড় শহর এবং তারপর আন্তর্জাতিক বাজারে আসবাবপত্র বিক্রি করা। 

তো এই বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে আপনি আপনার পণ্য কীভাবে পৌঁছাবেন? আপনি গতানুগতিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে কিছু মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারলেও বেশিরভাগ সম্ভাব্য ক্রেতা নাগালের বাইরে চলে যাবে। 

এই ক্ষেত্রে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যখন ফেসবুক স্ক্রল করেন তখন নিশ্চয়ই কোনো না কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন চোখে পরে। এ সকল অ্যাডের মধ্যে যা যা আছে তার সব কিছুই কি আপনার পরিচিত? খেয়াল করে দেখবেন এখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। অনেকসময় একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন বারবার দেখানোর কারণে আমাদের অবচেতন মন উক্ত পণ্য পছন্দ করা শুরু করে। 

এতে আপনি আপনার টার্গেট করা ক্রেতার কাছে সহজেই আপনার পণ্য পৌঁছে দিতে পারছেন। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে আপনি দেশ-বিদেশ সকল স্থানেই টার্গেট করা ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এতে আপনার ব্যবসার যেমন প্রসার হবে তেমনি অনেক দ্রুত নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারবেন। 

স্বল্প মার্কেটিং ব্যয়

কোন বিজনেস দাড় করানোর সময় আমাদের বাজেট ম্যানেজমেন্ট ঠিক করে নিতে হয়। দেখা যায় যে বাজেট সমস্যা নিরসন করতে না পেরে অনেক স্টার্ট-আপ সহ প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন সফল মার্কেটারদের মতে তাদের সফলতার পেছনে সঠিক পদ্ধতির মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

তো সঠিক পদ্ধতির মার্কেটিং এর মধ্যে মার্কেটিং ব্যয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা সাধারণত যে সকল মার্কেটিং পদ্ধতির সাথে পরিচিত সে সকল পদ্ধতিতে মার্কেটিং ব্যয় অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। যা প্রতিটি বিজনেসের জন্য ক্ষতিকর। যাইহোক, আমরা জানি ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করে করা হয়। 

বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের সময়ের বেশিরভাগ অংশ অনলাইনে কাটাই। বিভিন্ন ভিডিও দেখার পাশাপাশি ফেসবুকিং সহ অনলাইনেই কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যেহেতু বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ অনলাইনে উপস্থিত থাকে সেহেতু এই মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের কাছে সহজেই পৌঁছানো সম্ভব।

এখন আপনি কোন প্রচারণা পদ্ধতি যেমন ফেসবুক অ্যাড ইউজ করে আপনার পণ্যের জন্য উপযুক্ত ক্রেতাদের টার্গেট করে অ্যাড দিলেন। টিভিতে একটি অ্যাড দেওয়ার অর্ধেক খরচে আপনি ফেসবুকে অ্যাড রান করতে পারবেন। 

তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যান্য পদ্ধতি ইউজ করেও অনেক স্বল্প খরচে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়। বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে বড় উদাহরণ হচ্ছে হানি নাট এবং ড্রাই ফুড। আপনি ফেসবুকে প্রবেশ করলে এই সম্পর্কিত অ্যাড দেখতেই পাবেন। এই দেশে ফেসবুক ইউজ করে কিন্তু হানি নাট চিনে না এমন মানুষ খুঁজে পাবেন না। 

কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক তৈরি 

কাস্টমারের সাথে সরাসরি ভিজুয়াল সম্পর্ক তৈরি করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক ভালো কাজ করে। এই পদ্ধতিতে যখন কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে অ্যাড দেওয়া হয় তখন তা বিশেষ কিছু মানুষ যাদের উক্ত প্রোডাক্ট প্রয়োজন তাদের ফিলটার করে দেওয়া হয়। এতে উক্ত কাস্টমার নিজেকে আমাদের বিজনেসের সাথে কানেক্ট করতে পারবে।

সাধারণত বর্তমান সময় কোন কাস্টমার চায় না তার কাছে জোর করে কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করা হোক। সে চায় দেখে শুনে তারপর রিভিউ বিবেচনা করে এবং অন্য পণ্যের সাথে কম্পেয়ার করে  পণ্য কিনবে। ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতিতে এটি সহজেই করা সম্ভব। 

কারণ এই পদ্ধতিতে টার্গেটেড ক্রেতা ফিলটার করা থাকে, অর্থাৎ যার সত্যিকার অর্থে এই প্রোডাক্ট প্রয়োজন সুধু তার কাছে পৌঁছানো হয়। স্প্যাম করে বা অন্য কোন বিরক্তিকর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না দেখে রি-টার্গেট করা ক্রেতা পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হয়। তা ছাড়া এই মাধ্যমে কোয়ালিটি সম্পন্ন প্রোডাক্ট সরবরাহ করতে পারলে উক্ত ক্রেতা “Word of Mouth” পদ্ধতিতে ব্র্যান্ডিং সহ মার্কেটিং করে দেয়। মোটকথা, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি একজন সম্ভাব্য ক্রেতার যত কাছাকাছি যেতে পারবেন তা অন্য কোনো মাধ্যমে পারবেন না। 

ইমোশনাল মার্কেটিং

বর্তমান সময় প্রচলিত সকল ধরনের মার্কেটিংকে পেছনে ফেলা এই ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি সারাবিশ্ব ব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখানে একজন ক্রেতার কাছে সাইকোলজি ইউজ করে মাইন্ড ম্যাপিং করা হয়। এতে উক্ত কাস্টমারের কাছে পণ্য বিক্রি করার জন্য দুর্বলতা খুঁজে বের করা হয়। যেমন ধরুন আপনার বাসায় নবজাতক শিশু আছে। এখন আপনাকে টার্গেট করা হলো যে আপনি যে ডাইপার ইউজ করছেন তা তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। 

এখন আপনি কখনই আপনার বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর কোন জিনিস ব্যবহার করবেন না। এই সময় যদি আপনাকে একটি বিশেষ ধরনের ডাইপার এর অ্যাড দেওয়া হয় যেখানে বলা হয়েছে এটি ব্যবহারে কোন প্রকারের র‍্যাস বা চুলকানি হয় না। তখন আপনি কিন্তু মনে মনে উক্ত প্রোডাক্ট কিনতে চাইবেন। 

এখানে আপনার ইমোশন ব্যবহার করে দুর্বল পয়েন্টে আঘাত করা হয়েছে। এতে আপনি না চাইলেও অবচেতন মনে কিন্তু ঠিকই উক্ত প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হবেন। বর্তমান সময় ইমোশনাল মার্কেটিং এর সব থেকে বড় হাতিয়ার হচ্ছে বয়কট প্রথা। এখানে অনেক সূক্ষ্ম ভাবে এক পণ্য বয়কট করে একই গোত্রের অন্য পণ্য অ্যাড করে দেওয়া হয়। যেমন বর্তমানে কোকাকোলার পরিবর্তে মোজো খাওয়া হচ্ছে। 

এখানে যুদ্ধকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন পণ্য মানুষের মাঝে প্রচলিত করা হচ্ছে। যেখানে ডিজিটাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এভাবেই অনেক সূক্ষ্মভাবে আমাদের ইমোশন ব্যবহার করে নিউরো মার্কেটিং করা হচ্ছে। 

টার্গেটেড ক্রেতার কাছে পৌঁছানো সহজ হয়

ডিজিটাল মার্কেটিং এর যতগুলো সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তাদের মধ্যে টার্গেটেড ক্রেতার কাছে পৌঁছানো সহজ এবং সুদূরপ্রসারী। গতানুগতিক মার্কেটিং ব্যবস্থায় আমরা আমাদের পণ্য বা সেবা কোন নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে বা সমমনা গোষ্ঠীর কাছে সাবলীলভাবে পৌঁছাতে পারি না। এখানে আমাদের সম্ভাব্য ক্রেতা যেমন বিভিন্ন পেশার থাকে তেমনি বিভিন্ন বয়সের হয়ে থাকে। 

এখন কোন প্রোডাক্ট কিন্তু একই সাথে কয়েকটি গ্রুপের সাথে ক্রেতার কাছে আবেদন তৈরি করতে পারবে না। কারণ আলাদা আলাদা বয়সের মানুষের রুচি যেমন আলাদা হয় তেমনি তাদের চিন্তা ভাবনা আলাদা। ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজেই এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। 

যখন ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করা হয় তখন উক্ত প্রোডাক্ট সম্পর্কিত লিড সংগ্রহ করা হয়। এই লিড ব্যবহার করে যখন অ্যাড টার্গেট করা হয় তখন তা কিন্তু সুধু ওই সকল ক্রেতার কাছেই পৌঁছাবে। এতে যেমন সেল বৃদ্ধি পাবে তেমনি ক্যাম্পেইন সফল হবে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কীভাবে ব্যবসার প্রসার ঘটায়? 

উপরিউক্ত আলোচনায় ইতোমধ্যে আলোচনা করা হয়ে গেছে ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কি। তো একজন বিজনেস ওনার হিসেবে এটি আপনার ব্যাবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে? উত্তর অনেক সহজ এবং কার্যকরী। 

ধরুন আপনি একটি বিজনেস দাড় করাচ্ছেন। এখন এখানে আপনার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রোডাক্ট বিক্রি করে দ্রুত সেল বৃদ্ধি করা ও পাশাপাশি ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা। যখন আপনি একটি ব্র্যান্ড হবেন তখন মানুষ নিজে থেকে আপনার বিজনেসের মার্কেটিং করে দিবে। 

মোটকথা, আধুনিক মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার বিজনেসের প্রচার এবং প্রসার করতে পারবেন। এতে যেমন আপনার মার্কেটিং ব্যয় কমে যাবে তেমনি আপনার ক্রেতাদের সাথে একটি সু সম্পর্ক তৈরি হবে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে আপনার ব্যাবসা প্রসারিত হবে। 

উপরিউক্ত আলোচনায় ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব এবং এটি কীভাবে কাজ করে এবং বিজনেসের উন্নতিতে এটি কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি লেখাটি পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। 

Leave a Reply