বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয়

বর্তমান সময়ের সবথেকে বেশি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে বিকাশ (bkash). মোবাইল ব্যাংকিং সেবার উপকারিতা আমরা প্রায় সবাই মোটামুটি উপলব্ধি করতে পারি। তবে এই প্লাটফর্মে ঝুঁকির পরিমাণও কম নয়। তাদের মধ্যে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক উল্লেখযোগ্য।

প্রতারক চক্র বিভিন্ন উপায়ে আপনার একাউন্টটি হ্যাক (Hack) করতে পারে। যার ফলে আপনি হাড়িয়ে বসতে পারেন আপনার একাউন্ট এর সমস্ত জমানো টাকা। তবে সমস্যা যখন রয়েছে তার সমাধানও অবশ্যই থাকবে। তাই বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় সম্বন্ধে আমাদের সবার ধারণা থাকা উচিত।

মূলত একটি একাউন্ট হ্যাক হওয়ার পিছনে মূল হোতা একাউন্টের রক্ষাকর্তাই হয়ে থাকেন। নিজের অজ্ঞতা বসত প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হতে হয়। তাই একাউন্ট হ্যাক হওয়া এবং হ্যাক হলে করণীয় সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। তো বন্ধুরা! ঠিক সে কারণেই আমার আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু হলো বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয়। তবে এর পাশাপাশি আমি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। সুতরাং বন্ধুরা সাথেই থাকুন।

বিকাশ হ্যাক কিভাবে করে?

একটি বিকাশ একাউন্ট বিভিন্ন উপায়ে হ্যাক হয়ে যেতে পারে। এটি সম্পূর্ণভাবে হ্যাকারের ছল-ছাতুরির উপর নির্ভর করবে। কেননা একজন হ্যাকার আপনার একাউন্ট হ্যাক করতে বিভিন্ন কৌশলে আপনাকে বোকা বানাতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি যেই প্রক্রিয়ায় বিকাশ ব্যবহারকারীরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং একাউন্টের টাকা হাড়িয়েছেন সেই উপায়টি নিয়ে এ পর্যায়ে আলোচনা করব। যাতে আপনিও এ সকল প্রতারকদের প্রতারণার চক্র থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন।

বিকাশ হ্যাকার প্রথমে আপনার একাউন্টের নাম্বারটি সংগ্রহ করবে। এর জন্য তারা যেকোন এজেন্ট পয়েন্ট যেখান থেকে আপনি আপনার একাউন্ট থেকে টাকা তুলেন সেখান থেকে নাম্বারটি চুরি করবে। এরপর সেই নাম্বার থেকে আপনাকে কল দিবে। এরপর বলবে যে আপনার একাউন্টে ভুলে কিছু টাকা চলে গিয়েছে। এর ফলে সে আপনার কাছে জানতে চাইবে যে আপনার একাউন্টে কত টাকা আছে এবং আপনার নাম কি। এরপর সরল মনে আপনি তা বলেও দিলেন। তারপর সেই হ্যাকার রং নাম্বার বলে কলটি কেটে দিবে। 

এর কিছুক্ষণ পর হ্যাকার একটি বিশেষ অ্যাপের সাহায্যে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের ফোন নাম্বারটি নকল করে সেটি থেকে কল করবে। এরপর পূর্বেই জেনে নেয়া আপনার নাম এবং একাউন্টে টাকার পরিমাণ বলে দিবে। ফলে আপনি সরল মনেই বিশ্বাস করে নিবেন যে সে ব্যাক্তি বিকাশ কাস্টমার কেয়ার অফিস থেকে কল করেছে। এরপর কথা বলার সময় কৌশলে আপনার কাছ থেকে আপনার একাউন্ট এর পিন নাম্বারটি জেনে নিবে। ব্যাস পিন নাম্বারটি বলে দিলেন তো ফেঁসে গেলেন।হ্যাকাররা এখন যেকোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে আপনার একাউন্টে থাকা সমস্ত টাকা চুরি করে নিয়ে যাবে।

বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয়

বিকাশ একাউন্ট যদি হ্যাক হয়ে যায় এবং একাউন্টের সমস্ত টাকা চুরি হয়ে যায় তবে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আপনি আপনার ক্ষয়ে যাওয়া টাকা সমেত একাউন্টটি ফিরে পেতে পারেন। আপনি যে প্রতারক চক্রের ফাদে পড়েছেন তা যত দ্রুত সময়ের মধ্যে বুঝতে পারবেন, আপনার একাউন্ট ও টাকা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে। যদিও এই দুর্ঘটনার পেছনে আপনার বোকামো এবং অসচেতনতাই দায়ী।

আপনি যখনই বুঝতে পারবেন আপনার একাউন্টটি হ্যাক হয়েছে, কোনো কালবিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো Follow করুন।প্রথমেই যত দ্রুত সম্ভব বিকাশ হেল্প লাইন (Help Line) নাম্বারে ফোন করুন। বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারটি হলো 16247. একাউন্ট হ্যাক হওয়ার পরে যখন আপনি তা বুঝতে পারবেন তখনই তাৎক্ষণিকভাবে নাম্বারটিতে কল করুন। 

এরপর সম্পূর্ণ ডিটেইলস তাদেরকে খুলে বলুন। আপনার একাউন্ট থেকে নাম্বারটি খুঁজে বের করুন যে নাম্বার থেকে হ্যাকার টাকা তুলেছে। সেই নাম্বারটি বিকাশ হেল্প সেন্টারে প্রেরণ করুন। তাহলেই ইনশাল্লাহ্ ২৪/৪৮ ঘন্টার মধ্যে হ্যাক হয়ে যাওয়া একাউন্ট এবং টাকা দুটোই পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন, সমস্যায় পতিত হয়ে তার থেকে মুক্তির পথ খোঁজার চেয়ে সমস্যায় যাতে না পরতে হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা অধিক বাঞ্ছনীয়। তাই বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে তা পুনরুদ্ধারের থেকে একাউন্ট যাতে হ্যাক না হয় সে ব্যাপারে সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করুন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আপনার বিকাশ পিন নাম্বারটি যেন আপনি ব্যতীত আর কেউই না জানতে পারে। 

বিকাশের টাকা হ্যাক

বিকাশ বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সময়ের সঙ্গে এর জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে এই ফিল্ডে প্রতারণা এবং ধোঁকা বাজি। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলছে হ্যাকার বা প্রতারক চক্রের ফাঁদ। যার ফলে প্রায়শই একটি কথা শুনা যায় এবং তা হলো বিকাশের টাকা হ্যাক। 

হ্যাঁ বন্ধুরা! হ্যাকাররা যখন বিভিন্ন প্রতারণার জাল ফেলে কোন অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেলে তখন সেই অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা তারা চুরি করে নিয়ে যেতে পারে। একেই মূলত বলা হয় বিকাশের টাকা হ্যাক বা ভার্চুয়াল চুরি। আমাদের পকেট বা মানি ব্যাগ থেকে যেমন টাকা চুরি হয়ে যেতে পারে তেমনি বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা হ্যাক বা চুরি হয়ে যেতে পারে। তাই সর্বদা এই ব্যপারে সতর্ক থাকা উচিত এবং কখনও কোনো সমস্যায় পতিত হলে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশ হেল্পলাইন বা হেল্প সেন্টারে যোগাযোগ করুন।

বিকাশ লাইভ চ্যাট

সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে বিকাশ কর্তৃপক্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হলো বিকাশ লাইভ চ্যাট (Bkash Live Chat). বিকাশ লাইভ চ্যাট সাপোর্টের মাধ্যমে বিকাশের যে কোন গ্রাহক যে কোন সময় বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে লাইভে যোগাযোগ করে কথা বলতে পারবেন এবং তাৎক্ষণিক যে কোন সমস্যার সমাধান জানতে পারবেন।

বিকাশ লাইভ চ্যাট সাপোর্টের উল্লেখযোগ্য সেবা সমূহ হলো:

  • বিকাশ হেল্প সেন্টারে কল করা যেমন ব্যয়বহুল সেখানে বিকাশ লাইভ চ্যাটে কথা বলা একদমই ফ্রি।
  • হেল্প সেন্টার থেকে প্রয়োজনে সাহায্য নিতে চাইলে তা অনেক সময় সাপেক্ষ। কিন্তু লাইভ চ্যাটে খুবই কম সময়ের মধ্যে সাহায্য নেয়া যায়।
  • বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করলে অনেকসময় দেখা যায় নাম্বার বিজি অথবা বন্ধ থাকে। যার ফলে প্রয়োজনের সময় contact করা দুঃস্কর হয়ে পরে। কিন্তু লাইভ চ্যাটে এরূপ কোনো সমস্যার সম্ভাবনা নেই। সপ্তাহে ৭ দিনই ২৪ ঘন্টার যেকোন সময় লাইভে কথা বলে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করা যায়।
  • একাউন্টে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক লাইভ চ্যাটে কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান জেনে নেয়া যায়।

এখন প্রশ্ন থাকতে পারে বিকাশ লাইভ চ্যাট কিভাবে ব্যবহার করবেন? অথবা বিকাশ লাইভ চ্যাট থেকে কিভাবে সাহায্য নিবেন? বন্ধুরা! প্রথমত বলব এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। নিচের ধাপগুলো যদি সঠিকভাবে follow করেন তবে সহজেই যে কেউ বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে পারবেন।

প্রথমে এই লিংকটিতে প্রবেশ করুন https://livechat.bkash.com/

লিংকে প্রবেশ করলে একটি পেজ ওপেন হবে। তবে মনে রাখবেন এ সময় আপনাকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। কেননা বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় বিকাশ লাইভ চ্যাটের অপশনটি পেজে শো করতে কিছুটা টাইম নিয়ে থাকে।

কিছু সময় অপেক্ষা করার পর দেখবেন “ক্লিক করে লাইভ চ্যাট করুন” নামের একটি অপশন পেজে শো করবে। এবার অপশনটিতে ক্লিক করুন।

এখান থেকে লাইভ চ্যাটে অংশ নিন

এই অপশনটিতে ক্লিক করা পর আপনি নতুন আরেকটি পেইজে প্রবেশ করবেন। যেখান থেকে সরাসরি বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সাথে সরাসরি লাইভে চ্যাটিং বা ম্যাসেজিং এর মাধ্যমে বিকাশের যে কোন সমস্যা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবেন।

এবার নতুন পেইজটিতে প্রবেশের পর কিছু সময় অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না কোনো বিকাশ কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনার সঙ্গে যুক্ত হন। কোন প্রতিনিধি  যদি আপনার সাথে যুক্ত হয়ে থাকেন তবে সাথে সাথে তার নাম পেজের উপরে শো করবে। এখন আপনি ঐ ব্যাক্তিকে আপনার সমস্যার বিষয়গুলো ম্যাসেজিং এর মাধ্যমে জানাতে পারবেন।

প্রতিনিধির সাথে ম্যাসেজিং করুন

শুধু ম্যাসেজিং নয়। প্রয়োজনে বিকাশ সংক্রান্ত যে কোন ছবি ও স্কিনশট কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। এজন্য চ্যাট বক্সের বাম পাশে থাকা একটি আইকনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলের স্টোরেজ Access করার কথা বলবে। 

যেকোন ছবি বা স্ক্রিনশট যুক্ত করুন

স্টোরেজ এক্সেস করা হলে আপনাকে এই পেজ থেকে সরাসরি আপনার ডিভাইসের গ্যালারিতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ছবিটি সিলেক্ট করে শেয়ার দিয়ে দিলেই ছবিটি চলে যাবে বিকাশ প্রতিনিধির কাছে এবং সে তাৎক্ষণিক আপনার সমস্যার সমাধান বলে দিবে।আর এভাবেই আপনি বিকাশ লাইভ চ্যাট ব্যবহার করে যে কোনো সমস্যার সহজ সমাধান পেয়ে যেতে পারেন খুবই অল্প ও দ্রুত সময়ের মাঝে।

বিকাশ হেল্পলাইন

বিকাশ হেল্পলাইন

যেহেতু বিকাশ বর্তমানে অন্যান্য Mobile Banking সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মাঝে ব্যাংকিং এ সবার উপরে অবস্থান করছে, তাই বলাই বাহুল্য যে বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা কতটা বিপুল পরিমাণে পারে। তাছাড়া প্রতারক চক্র তো রয়েছেই। তাই দেখা যায় যে, বিভিন্ন সময় একাউন্টে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জরুরি মুহূর্তে সেবা নেওয়াটা খুবই জরুরি হয়ে যায়। 

তাই এই দিকগুলো বিবেচনা করে বিকাশ কর্তৃপক্ষ বিকাশ হেল্পলাইন (Bkash Helpline) বা কাস্টমার কেয়ার (Customer Care) এর মত সার্ভিস চালু রেখেছে। যে কারণে যেকোন সময় দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে সেবা নিতে পারবেন।

বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারটি হলো 16247 বা ১৬২৪৭. এছাড়াও যদি আপনার সেল ফোনে কোন সমস্যা হয়ে থাকে তবে যেকোন লোকাল নাম্বার থেকে এই 02-55663001 বা ০২-৫৫৬৬৩০০১ নাম্বারে কল করে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কথা বলা যাবে।

এই নাম্বার দুটি দিনের চব্বিশ ঘন্টাই খোলা থাকে। ফলে যেকোন সময় আপনি নাম্বারগুলোতে যোগাযোগ করতে পারবেন। তবে ইতিমধ্যে আমি যেমনটি বলেছি বিকাশের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশি এবং প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা অতি উচ্চ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি যেমন হচ্ছে তেমনি হেল্পলাইনে যোগাযোগের তাগাদা বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে এই করোনা মহামারীর কারণে অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন বিকাশের চাহিদা অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে।

ফলে হেল্পলাইনে ব্যাস্ততাও বেড়েছে অনেক। তাই দেখা যায় একটি কল কানেক্ট হতে প্রচুর সময় নিচ্ছে। তাই কিছুটা ধৈর্য্য নিয়ে কল করে যেতে হয়। তাছাড়া মোবাইলে যথেষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্স রেখে কল করবেন। কেননা একটি কল কানেক্ট হলেও কলটি লাইন পেতে বিস্তর সময় লাগতে পারে। তাই দেখা যায় মোবাইলের ব্যালেন্স থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা কেটে যায়। তবে এখন বিকাশ লাইভ চ্যাট সাপোর্ট ওপেন করার ফলে হেল্পলাইনে ভীর কিছুটা কমেছে। বিকাশ লাইভ চ্যাটের ব্যপারে আমি already উপরে উল্লেখ করেছি। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।

বিকাশ সার্ভিস সেন্টার

বিকাশের কোন গ্রাহক যদি বিকাশ অথবা একাউন্ট সংক্রান্ত কোন সমস্যায় পতিত হয়ে থাকেন তবে মূলত বিকাশ হেল্পলাইন বা কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়।কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বিকাশের অনেক কাস্টমার বা গ্রাহক হেল্পলাইন বা কাস্টমার কেয়ারে কল করে হেল্প নিতে ব্যর্থ হন। নতুবা কখনও কখনও গ্রাহককে সঠিক সেবা প্রদানের রাস্তাটি খুঁজে পাওয়া যায় না।

সেক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হলো বিকাশ সার্ভিস সেন্টার ( bkash service center). আমি আগেই বলেছি বন্ধুরা বিকাশ যেমন একটি বৃহৎ প্লাটফর্ম, তেমনি বিকাশের গ্রাহক সেবার পরিসর অনেক বড়। বিকাশ গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা প্রাদানের জন্য চালু রেখেছে বিকাশ সার্ভিস সেন্টার সেবা। 

মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা আসবে বিকাশে

বিকাশ সার্ভিস সেন্টারে যেয়ে একজন গ্রাহক সরাসরি বিকাশ কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির কাছ থেকে সরাসরি সেবা গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে এই সেবা দেশের প্রতিটি জেলা শহর এবং প্রায় উপজেলা শহরগুলোতে available করা হয়েছে। প্রিয় পাঠকবৃন্দ! এতক্ষণ এই আর্টিকেলটিতে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি ব্যাপারটি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।

2 thoughts on “বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয়”

Leave a Reply