রোবটিক্স কী? রোবট কীভাবে কাজ করে?
রোবটিক্স কী? রোবট কীভাবে কাজ করে? কেমন ছিল বিশ্বের প্রথম রোবট?

রোবটিক্স কী? রোবট কিভাবে কাজ করে? কেমন ছিল বিশ্বের প্রথম রোবট?

আপনি রাতে হাঁটতে বের হয়েছেন হঠাৎ মানুষের মত হুবহু দেখতে কোন যন্ত্র আপনার পথ আগলে দাড়ালো। এতে বোধহয় আপনার খুব একটা বিস্মিত হওয়া কিন্তু উচিত হবে না। কেননা আর হয়তো কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা এদের সাথে একই সমাজে বসবাস করতে চলেছি। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন রোবটের কথাই বলছি। 

একসময় রোবট শব্দটি শুধু সাইন্স ফিকশন গল্প গুলিরই একটি  পরিভাষা ছিল।  তবে বর্তমানে মাইনিং থেকে শুরু করে,  কার তৈরি,  ঔষধ তৈরি  এবং বিভিন্ন কলকারখানায় মানুষের বিকল্পে রোবট ব্যবহার করে উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রোবটিক্স কি?

রোবটিক্স শব্দটি এসেছে রোবট থেকে।  প্রযুক্তির যে শাখা  রোবটের ডিজাইন, নির্মাণ এবং এর প্রয়োগ বিধি নিয়ে আলোচনা করে তাকেই রোবটিক্স বলে।  এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে,  রোবট কি?

রোবট কি

রোবট  হল মানব তৈরি এমন একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা , যা  মানুষ যেভাবে কাজ করতে বলে ঠিক সেভাবেই কাজ করে এবং এর কাজ দেখে মনে হয় যেন এর বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। আর  রোবট শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে  চেক  শব্দ ‘ রোবটা’  থেকে।  রোবটা  শব্দের অর্থ হলো  ফোরসোড  লেবার  বা  মানুষের দাসত্ব করে এমন কিছু কিংবা  এমন এক প্রকার যন্ত্র যা একটানা খাটুনি বা একঘেয়েমি পরিশ্রম করতে পারে এমন কিছু। সহজ ভাষায় বলতে হলে,  রোবট হলো এক প্রকার যন্ত্র যা নিজে নিজে মানুষের কাজে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন কাজে মানুষের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে।

আর রোবটিক্স হল বিজ্ঞানের সেই শাখা,   যেখানে  রোবট তৈরি এবং এর ডিজাইন সহ আমরা কিভাবে রোবটকে আমাদের কাজে ব্যবহার করতে পারি তাই  নিয়ে আলোচনা এবং গবেষণা করা হয়।  পৃথিবীর যত জনসংখ্যা বাড়ছে ততোই  মানুষের চাহিদাও বাড়ছে । আর সেই সাথে রোবটিক্স  এর চাহিদা এবং গুরুত্বও অনেক অনেক বেড়ে যাচ্ছে। 

রোবটিক্স এর সূত্রপাত

রোবট নিয়ে আমরা সর্বপ্রথম সংস্কৃতির বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী গুলোতে ধারণা পেয়ে থাকি।  বিভিন্ন প্রকার কৃত্তিম ঘুঘু, কৃত্তিম বেজি এবং এরকম আরো অনেক স্বয়ংক্রিয় বস্তুর  পরিচয় আমরা এসব পৌরাণিক গল্প গুলো থেকেই পেয়েছি। তাই বলা যায়,  রোবটিক্স এর সূত্রপাত  খ্রিস্টপূর্ব এরও  অনেক অনেক বছর আগেই  হয়েছিল।

রোবটিক্সের জনক

তবে সর্বপ্রথম ডিজিটাল এবং প্রোগ্রামেবল রোবট আবিষ্কার করেন জর্জ ডেবল নামক এক বিজ্ঞানী। আর এজন্য তাকে  আধুনিক রোবট রোবটিক্সের  জনক বলা হয়।

রোবটিক্স শব্দটি প্রথম কোথায় ব্যবহৃত হয়?

রোবটিক্স শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় একটি সাইন্স ফিকশন  গল্পে।  যার নাম ছিল লায়ার। ১৯৪১ সালে  প্রকাশিত আইজ্যাক আসিমভের এই সাইন্স ফিকশন গল্পেই রোবটিক্স শব্দটির প্রথম ব্যবহার লক্ষ্য করা হয়।

রোবট এবং রোবটিক্স এর পার্থক্য

রোবট হলো মানুষের তৈরি এক প্রকার স্বয়ংকৃত যন্ত্র যা মানুষের কথা মতো কাজ করতে পারে।  আর রোবটিক্স হল  বিজ্ঞান  বা প্রযুক্তির এমন একটি শাখা  যেখানে এই রোবট নিয়ে গবেষণা করা হয়।  রোবট নির্মাণ,  রোবটের ডিজাইন এবং  রোবটের  প্রয়োগ নিয়েই মূলত রোবটিক্স কাজ করে।  এক কথায়, রোবট হলো একটি যন্ত্র আর  রোবটিক্স হলো  একটি  বিজ্ঞান বিষয়ক পড়াশোনার শাখা।  আশা করি বিষয়টি  আপনাদের  কাছে পরিষ্কার হয়েছে।

রোবটিক্স এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

১৯২০ সালে সর্বপ্রথম চেক স্লাভিয়ান নাট্যকার Kernel Capek রোবট শব্দটি ব্যবহার করেন। তবে রোবটিক্স এর উৎপত্তি  প্রাচীন বিশ্বেই। আধুনিক রোবটের সূত্রপাত হয় শিল্প বিপ্লবের পর থেকে। জটিল আচরনের প্রথম ইলেক্ট্রনিক স্বায়ত্তশাসিত রোবট তৈরি করা হয় ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল ব্রিডল নিউরোলোজিকাল ইন্সটিটিউটের উইলিয়াম গ্রে ওয়াল্টার দ্বারা। 

১৯৫৪ সালে জর্জ ডিভোল উদ্ভাবন করেন প্রথম ডিজিটাল এবং প্রোগ্রামযোগ্য রোবট। আর ২০০০ সালে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রোয়োগের মাধ্যমে আধুনিক নিয়ন্ত্রিত শিল্প রোবটগুলো নির্মান করা হয়। ২০০৪ সালে কার্নেল ইউনিভার্সিটি প্রথম একটি রোবট প্রকাশ করে যা স্ব-প্রতিক্রিয়ায় সক্ষম ছিল। এটিই বিশ্বের প্রথম রোবট যা নিজেই নিজের প্রথম কপি করতে সক্ষম ছিল। সবশেষে যে রোবটটির কথা না বললেই নয়, সেটি হলো সোফিয়া। সৌদি আরব কর্তৃক নির্মিত এই রোবটি চালু করা হয় ২৫ অক্টোবর ২০১৭ সালে। এটিই প্রথম রোবট যা কোন দেশের জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব লাভ করে।

রোবটিক্সের নীতি

১৯৪১ সালে এবং ১৯৪২ সালের দিকে আইজ্যাক এজিমভ রোবটিক্সের উপর তিনটি আইন প্রণয়ণ করেন। আইনগুলি হলো-

  • একটি রোবট কোন মানুষের ক্ষতি করতে পারে না এবং নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে কোন মানুষকে ক্ষতি করতে দেয় না।
  • একটি রোবটকে  অবশ্যয় মানুষের দেয়া আদেশগুলি মান্য করতে হবে। তবে এমন আদেশ নয়, যা প্রথম আইনটির সাথে বিরোধী হয়।
  • কোন রোবটকে অবশ্যই তার নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে  যতক্ষণ না এরকম সুরক্ষা প্রথম বা দ্বিতীয় আইনের সাথে বিরোধী না হয়।

এছাড়া ১৯৪৮ সালে নরবার্ট অয়েনার সাইবারনেটিক্সের মূলনীতি প্রণয়ন করে। যা কার্যকরী রোবটিক্সের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়।

কেমন ছিল বিশ্বের প্রথম রোবট? 

 বিজ্ঞানীরা  সর্বপ্রথম কম্পিউটার ব্রেইন কে কাজে লাগিয়ে রোবট তৈরির পরিকল্পনা করেন বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই। আর বিশ্বের প্রথম প্রোগ্রামেবল রোবট এর নাম হলো ইউমিনেট

১৯৫৪ সালে জর্জ ডেভল এটি আবিষ্কার করেন । তিনিই এর নাম দেন Unimate

আর ১৯৬১ সালে তিনি এটি জেনারেল মোটরস নামের একটি কোম্পানীর কাছে বিক্রি করে দেন। কারণ ইউমিনেটের কাজ ছিল ভারী লোহা লক্কড় ওঠানামা করানো আর ভারী কোন বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা। ইউনিমেটের হাত ধরেই শুরু হয় বিশ্বের প্রথম আধুনিক স্বয়ং ক্রিয় রোবটের যাত্রা। এরপর ১৯৬৬ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্বয়ং ক্রিয় স্বায়ত্তশাসিত রোবট তৈরি করেন । যার নাম দেয়া হয়েছিল ‘শেকি’ রোবট। এই রোবটটি কোন টেবিলের বাধাকে কীভাবে অতিক্রম করতে হয় এবং একটি ঘরের চারপাশের দেয়ালগুলোকে পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে বাধা বিপত্তি দেখে চলাফেরা করতে সক্ষম  ছিল।

বিভিন্ন প্রকারের রোবট

রোবট সম্পর্কে আমাদের কিছুটা ধারণা আশা করি হয়েছে। এ পর্যায়ে চলুন জেনে নেয়া যাক এর প্রকারভেদ সমন্ধে। রোবটকে বিভিন্ন শ্রেনীতে ভাগ করা তেমন একটা সহজ ব্যপার নয়। কারণ সকল প্রকার রোবটের মূল ধারণা এক। তবুও রোবটগুলোর স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য এবং এদের ব্যবহারের ক্ষেত্র বিশেষে কয়েকটি শ্রেণীতে আমরা ভাগ করতে পারি। নিচে এমন কিছু রোবটের প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হলো-

শিল্প রোবট- এ ধরণের রোবটগুলো সাধারণত বিভিন্ন শিল্প কারখানাগুলোতে ব্যবহার করা হয় কাজের অগ্রগতি এবং প্রোডাকশন বৃদ্ধি করার জন্য। শিল্প রোবটগুলি সাধারণত যে ধরণের কাজ করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পেইন্টিং, হ্যান্ডেলিং এবং অয়েল্ডিং ইত্যাদি।

মহাকাশ রোবট- রোবট ব্যবহারের একটি বিশাল ক্ষেত্র এটি। এই রোবটগুলী সাধারণত উড়ন্ত হয়ে থাকে। এই ধরণের রোবটগুলি মহাকাশের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। মার্স এ নাসা কর্তৃক এরকম অনেক রোবট পাঠানো হয়েছে।

ঘরোয়া রোবট- গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজ করার জন্য এ ধরণের রোবটগুলী ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ রোবটিক সুইপার, পুল ক্লিনার, রোবটীক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, রোবটীক সুইয়ার ক্লিনার ইত্যাদি।

গ্রাহক রোবট- এই ধরনের রোবটগুই আপনি আপনার পারসোনাল কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এরকম কয়েকটি রোবটের নাম হলো রোবট ডগ আইবো, এ আই চালিত রোবট সহকারী, রোম্বা ভ্যাকুয়াম রোবট ইত্যাদি।

দুর্যোগের প্রতিক্রিয়া– কোন জরুরি বা বিপজ্জনক কাজে ব্যবহার করা হয় যে ধরণের রোবট গুলি কে তাদেরকে সাধারণত এই শাখার মধ্যে রাখা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়ঃ ২০১১ সালে ভুমিকম্প ও সুনামির আঘাত্ হানার পর জাপানে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতি পরীক্ষা করার জন্য এক ধরণের পুকবট নামক রোবট ব্যবহার করা হয়েছিল।

হিউম্যানোয়েড রোবট- রোবটের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী শাখা হলো হিম্যানওয়েড রোবট। এই রোবটগুলিকে মানুষের মত কাজ করতে পারে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে। এরা মানুষের আচরণ হুবহু নকল করতে পারে অনেক সময়। তাছাড়া দৌড়াতে, লাফাতে, মালামাল বহন করতেও এদের ব্যবহার করা হয়। এই ধরণের রোবটের সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হলো RoboT Sofia (রোবট সোফিয়া) এবং Robot Atlas (রোবট আটলাস)।

মেডিকেল রোবট- বিভিন্ন ঔষধ এবং চিকিতসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হয় যে ধরনের রোবটগুলিকে যেগুলোকে সাধারণত মেডিকেল রোবট বলে। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত রোবটগুলির মধ্যে অস্ত্রোপাচার রোবট অন্যতম। এছাড়াও ঔষধ তৈরির কাজেও বিভিন্ন রোবট ব্যবহার হয়ে থাকে।

সামরিক রোবট- নাম শুনেই হয়তো বুঝতে পারছেন এই রোবটগুলিকে কী কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। সামরিক বিভিন্ন কাজে আজকাল রোবট ব্যবহার হয়ে থাকে। সেগুলোকেই সামরিক রোবট বলে অভিহিত করা হয়। বিভিন্ন বোমা নিষ্পত্তি কিংবা পরিদর্শন কাজে সামরিক রোবট এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

বিনোদন রোবট- বর্তমানে বিনোদন ক্ষেত্রেও আমরা রোবটের ব্যবহার দেখতে পাই। এই রোবটগুলি সাধারণত শিশুদের খেলনা রোবট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এগুলো নাচতে পারে, গান গাইতে পারে, দৌড়াতে পারে এমনকি শিশুদের সাথে খেলতেও পারে। দিনদিন এই রোবটগুলির চাহিদা আরো বেড়ে যাচ্ছে।

এসব রোবট ছাড়াও আরো অনেক কাজে অনেক রকম রোবটের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

রোবট কীভাবে কাজ করে?

রোবট যেহেতু কোন মানুষ নয়, একটি যন্ত্র তাই একে কনট্রোল করতে হয়। আর কনট্রোল করার জন্য রয়েছে এক ধরনের মাইক্রো কন্ট্রোলার বা মাইক্রো প্রসেসর। তাছাড়া বাইরের পরিবেশের বিভিন্ন পরিবর্তন বিবেচনা করার জন্য রয়েছে কতকগুলো সেন্সর। প্রথমেই রোবটের প্রসেসরে কিছু কমান্ড লিখে রাখতে হয়, যাতে সে আমাদের প্রয়োজন মত কাংক্ষিত কাজটি সম্পাদন করতে পারে। আবার রোবটের হার্ডওয়ারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে মটর ব্যবহার করা হয় মুভমেন্ট করার জন্য। কমিউনিকেশন করার জন্য ব্যবহার করা হয় নানানরকম কমিউনিকেশন ডিভাইস। যেমনঃ আর এজ কমিউনিকেশন, ব্লুটুথ কমিউনিকেশন, ওয়াইফাই কমিউনিকেশন ইথারনেট কমিউনিকেশন, জিপিএস কমিউনিকেশন ইত্যাদি। রোবট এর প্রোগ্রামিং করার জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেমনঃ সি, সি++, জাভা , পাইথন  ব্যবহার করা যায়। আশা করি, রোবট কীভাবে কাজ করে এর একটি প্রাথমিক ধারণা আপনার হয়ে গেছে।

রোবটিক্স ও আগামীর বিশ্ব

আজকাল এই রোবট বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে। কিছুদিন আগেও রোবট সোফিয়া নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ মাতামাতি করেছে। তবে আপনি কী জানেন,এই রোবটের কারণে আমাদের আগামী পৃথিবী কেমন হতে চলেছে? 

হয়তো এমন এক সময় আসবে যখন আপনার আর  কোন কাজ করতে হবে না। সব কাজ রোবটই করে দিবে। এমনকি আপনাকে বিয়েও না করতে হতে পারে।কী, অবাক হলেন? অবাক হবার কিছু নেই। ইদানিং বিজ্ঞানীরা এক প্রকার হিউম্যানোয়েড রোবট তৈরি করেছেন যা আপনার যৌন চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আর এর নাম দেয়া হয়েছে সেক্স রোবট। তবে এর ব্যবহার নিয়ে এখনো বিতর্কের শেষ নেই। বিজ্ঞরা ধারণা করছেন এই ধরণের রোবটের ব্যবহার নারী এবং শিশুদের উপর চরম মাত্রায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এসব ছাড়াও এক সময় আপনার যখন কোন কাজ থাকবে না। তখন কিন্তু আপনি হয়তো জীবনের মানেটাও ভুলে যাবেন। আর এমন শংকা থেকে বেশ কয়েকটি হলিউড সিনেমাও তৈরি হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।

তবে যাই হোক, রোবট কিন্তু সবসময় মানুষের কথামতই চলবে। কেননা আমরাই তো এদের তৈরি করেছি। এ নিয়ে আপনার আপাতত শঙ্কাবোধ করার কিছুই নেই। আশা করি, আর্টিকেলটি আপনার অনেক কাজে লাগবে। ভালো থাকবেন। 

Leave a Reply