আগে পড়াশোনা শেষ করি পরে চাকরি দেখা যাবে! সেই যুগ অনেক আগেই গত হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ছাত্রাবস্থায় ইনকাম করা বেশিরভাগ সময়ই অনেকের নিকট একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু চিন্তার কোনো কারণ এখন আর নেই। ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করা এখন অনেক সহজ। হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়েই পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আয় করা শুরু করে দিতে পারেন।
অনলাইনে আয়
Content or Article Writing
ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে কন্টেন্ট রাইটিং কেই আমি এগিয়ে রাখবো। ভাষার প্রতি যদি আপনার ভালো দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা থাকে তবে হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়েই আপনি আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লিখে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। কেননা এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে এবং বাড়তেই থাকবে।
Data Entry
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য খুবই কার্যকর এবং সহজ একটি উপায় হলো ডেটা এন্ট্রি। ছাত্ররা তাদের অবসর সময়ে কাছে থাকা কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন যে কোনো একটির সাহায্যে ডেটা এন্ট্রির কাজ করে অনলাইনে আয় করত পারে।
YouTube
ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে সহজেই পড়াশোনার ফাঁকে অনলাইনে ইনকাম করার রাস্তা তৈরি করা যেতে পারে। বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। তবে অবশ্যই সেই পরিমাণ সময় এবং শ্রম দিতে হবে। তাই অবসর সময়ে মানসম্মত ভিডিও তৈরি করে সেগুলো ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করে অনলাইনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
Graphic Design
অনলাইন ইনকাম বা ফিন্যান্সিং এর জগতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এক অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। বিশেষত ছাত্রদের জন্য এটি খুবই Beneficial. ইন্টারনেট সংযুক্ত একটি কম্পিউটার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর কিছু ধারণা থাকলেই কাজ শুরু করা যায়। ধীরে ধীরে দক্ষতা যত বাড়বে কাজের পরিধিও তত বিস্তৃত হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো Idea না থাকলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ইন্টারনেটে এমন অসংখ্য ভিডিও এবং কনটেন্ট রয়েছে যেখানে থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখা যায়।
Video Editing
বর্তমান বাজারে ভিডিও এডিটিং এরও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের ভিডিও এডিটিং এর কাজে অনেক এডিটর নিয়োগ দিয়ে থাকে। আর এটি তেমন কঠিন কোনো কাজ নয়। পড়াশোনার ফাঁকে অবসর সময়ে খুব সহজেই এটি করা যায়। বর্তমানে ইন্টারনেটে ভিডিও এডিটিং এর জন্য অসংখ্য অ্যাপ রয়েছে। সেগুলোর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে জেনে নিলেই ভিডিও এডিটিং এর কাজ শুরু করা যায়।
Microsoft Office
সব ধরনের অফিশিয়াল কাজে মাইক্রোসফটের ব্যবহার অনিবার্য। আর এর জন্য কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্রিল্যান্সারদের কাজের উপরেই বেশি নির্ভর করে। তাই আপনার যদি মাইক্রোসফট এর কাজের ব্যাপারে জানা থাকে তবে এখনই এটি নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। Ms Word, PowerPoint এবং Ms Excel এই বিষয় সম্পর্কে জানা থাকলেই একজন স্টুডেন্ট অনলাইনে কিছুটা আয় করতে পারবে । আর প্রত্যেক স্টুডেন্টকে ছাত্রাবস্থাতেই মাইক্রোসফট এর কাজ শিখে নেয়া উচিত। কেননা Future এ যেকোন কাজের জন্যই এটি বেশ প্রাধান্য পায়।
Affiliate Marketing
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোন ই-কমার্স সাইটের পেজ থেকে তাদের প্রোডাক্ট এর লিংক সংগ্রহ করে সেসব লিংক বিভিন্ন জায়গায় শেয়ারের মাধ্যমে সেই প্রোডাক্ট বিক্রি করে তার মূল্যের উপর কমিশন লাভ করা। ছাত্রদের জন্য এই কাজ অনেক সম্ভাবনাময়। অ্যামাজন (Amazon) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বর্তমানে বেশ সমাদৃত। এখানে প্রথমে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে এরপর পণ্যের লিংক নিয়ে সেগুলো বিভিন্ন পেজ, ব্লগ বা ভিডিওতে শেয়ার দিয়ে পণ্য বিক্রয় করতে হয়। একটি পণ্য বিক্রয় হলে তার লভাংশের উপর অ্যামাজন ঐ বিক্রেতাকে কমিশন প্রদান করে। অ্যামাজন ছাড়াও এমন অনেক সাইট রয়েছে যেখানে থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।
মনে রাখবেন সব ক্ষেত্রেই সফলতার জন্য সময়, শ্রম ও ধৈর্য্যের কোন বিকল্প নেই। অনলাইনে কাজের ক্ষেত্রেও তাই। এখানে আপনি রাতারাতি সফল হয়ে যাবেন না। এজন্য ধৈর্য্য নিয়ে কাজের পিছনে লেগে থাকতে হবে। এভাবে একটা সময় নিশ্চিত সফলতা আসবে এবং প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।